রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন যে আমেরিকা গাজা স্ট্রিপটি “দখল” করবে এবং ফিলিস্তিনিদের স্থায়ীভাবে এই ছিটমহলটি সবচেয়ে শক্তিশালী মনোনয়নে ছেড়ে দেওয়া উচিত, তবে তিনি চান মিশর ও জর্ডানের মতো দেশে ২.২ মিলিয়ন জনসংখ্যা পুনর্বাসিত।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে প্রথম ইস্রায়েলি মন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুর সাথে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেছিলেন যে গাজার সমস্ত ফিলিস্তিনিদের “পুনর্বাসিত হওয়া উচিত”।
“আমেরিকা গাজা স্ট্রিপটি গ্রহণ করবে এবং আমরা এটির সাথেও একটি কাজ করব। আমরা সাইটে সমস্ত বিপজ্জনক এবং নিরবচ্ছিন্ন বোমা এবং অন্যান্য অস্ত্র ভেঙে ফেলার জন্য দায়ী করব এবং দায়বদ্ধ থাকব, ”নেতানিয়াহুর সাথে কথা বলার পরে তিনি বলেছিলেন।
তিনি আমাদের গাজায় সেনা পাঠাবেন কিনা জানতে চাইলে, ট্রাম্প তিনি বলেছিলেন, “আমরা যা প্রয়োজন তা করব। । । আসুন এই জায়গাটি গ্রহণ করুন, আসুন এটি বিকাশ করুন, আমরা হাজার হাজার হাজার হাজার কাজ তৈরি করব এবং এমন কিছু হবে যা থেকে পুরো মধ্য প্রাচ্য গর্বিত হতে পারে। “
ট্রাম্প বলেছিলেন যে তিনি “বিশ্বজুড়ে প্রতিনিধিদের” প্রত্যাশা করেছিলেন গাজাতিনি বলেন, “ফিলিস্তিনিদেরও” তিনি আরও বলেন, তিনি কল্পনা করেছিলেন যে গাজা “মধ্য প্রাচ্যের রিভেরা” হতে পারে।
তাঁর প্রস্তাবটি কয়েক দশক ধরে মার্কিন রাজনীতি এবং জ্বালানী ক্রোধের মুখোমুখি হবে, যেখানে ওয়াশিংটনের মিত্ররা দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে।
নেতানিয়াহু, ট্রাম্পের পাশাপাশি কথা বলছেন, তাঁর প্রস্তাব “মনোযোগ দেওয়ার মতো।”
নেতানিয়াহু বলেছেন, “তিনি সেই ভূখণ্ডের জন্য আলাদা ভবিষ্যত দেখেন যা এত সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রবিন্দু ছিল।” “আমরা এটি সম্পর্কে কথা বলছি। তিনি তাঁর দলের সাথে তাঁর লোকদের সাথে অন্বেষণ করছেন। আমি মনে করি এটি এমন কিছু যা গল্পটি পরিবর্তন করতে পারে। “
মিশর এবং জর্ডান আছে ইতিমধ্যে ট্রাম্পের পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে মার্কিন রাষ্ট্রপতি গত মাসে বলেছিলেন যে গাজার বাইরে ফিলিস্তিনিরা রিসেটেবল ফিলিস্তিনিদের বাইরে বলেছিলেন যে এই ছিটমহলটি “পরিষ্কার” করার সময় এসেছে।
ট্রাম্প মঙ্গলবার বলেছিলেন যে তিনি বিশ্বাস করেছিলেন যে কায়রো এবং আম্মানের নেতারা, যারা আমাদের উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সহায়তা পান, তারা “তাদের হৃদয় উন্মুক্ত করবে এবং আমাদের যে ধরণের জমি এটি করা দরকার তা আমাদের দেবে এবং লোকেরা সম্প্রীতি ও শান্তিতে বাঁচতে পারে।” ।
আরবরা ১৯৪৮ সালের মতো আন্দোলনকে দেখে, যখন কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর থেকে বাধ্য করা হয়েছিল বা ইস্রায়েলের প্রতিষ্ঠার সাথে লড়াইয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। ফিলিস্তিনিরা এই সময়টিকে যেমন নাকবা বা বিপর্যয়ের মতো উল্লেখ করে।
ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি মার্কিন পশ্চিমা মিত্রদের কাঁপিয়ে দেবে, যারা দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনি-ইস্রায়েলি সংঘাতের জন্য দুটি রাজ্যের সমাধানকে সমর্থন করেছে।
আমেরিকান গাজা ট্র্যাক যেমন মঙ্গলবার রাতে মনে হতে পারে।
আটলান্টিক কাউন্সিলের প্রাক্তন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মচারী জোনাথন পানিকফ বলেছেন, তিনি “কয়েক হাজার হাজার মার্কিন সেনা” এর প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন এবং “আরব নেতাদের মনে রাখবেন এবং মার্কিন জাতির সাফল্যের অভাবকে মনে রাখবেন ইরাক ও আফগানিস্তানে রাজ্য ”।
জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ পরের সপ্তাহে গাজার উপকণ্ঠে ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের রক্ষার জন্য ট্রাম্পকে ওয়াশিংটনে পাবেন।
ইস্রায়েল হামাসের October ই অক্টোবর, ২০২৩ হামলার পরে মারাত্মক প্রতিশোধের আক্রমণ শুরু করার পর থেকে ইস্রায়েল ঘনবসতিযুক্ত ট্র্যাকের বেশিরভাগ অংশ ধ্বংসস্তূপে পূর্ণ মরুভূমিতে কমেছে।
আরব এবং ইউরোপীয় শক্তিগুলি আশা করে যে একটি ভঙ্গুর বন্ধ চুক্তি এবং ইস্রায়েল এবং ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠীর মধ্যে জিম্মি যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তির দিকে পরিচালিত করবে এবং আপনাকে ট্র্যাকটির পুনর্গঠন শুরু করার অনুমতি দেবে।
তবে ট্রাম্প বলেছিলেন, “যদি আমরা সঠিক জমি, বা অসংখ্য জমি খুঁজে পেতে পারি এবং এলাকায় প্রচুর অর্থের সাথে কিছু খুব মনোরম জায়গা তৈরি করতে পারি। । । আমি মনে করি এটি গাজায় ফিরে আসার চেয়ে অনেক ভাল হবে, যার মৃত্যুর কয়েক দশক এবং দশক রয়েছে। “
ট্রাম্প মঙ্গলবার একটি স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছেন যা তাঁর সরকারকে ইরানের উপর “সর্বাধিক চাপ” চাপিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেবে, নেতানিয়াহুর সাথে দেখা করার ঠিক আগে, যিনি তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ইস্রায়েলের জন্য অস্তিত্বহীন হুমকি হিসাবে বিবেচনা করেছেন।
পরে রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন যে এই আদেশটি “সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞাগুলি প্রয়োগ করবে, ইরানি তেল রফতানি শূন্যে নিয়ে যাবে এবং অঞ্চলজুড়ে সন্ত্রাসকে অর্থায়নের জন্য শাসনের ক্ষমতা হ্রাস করবে।”
মার্কিন কর্তৃপক্ষ তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করার জন্য আলোচনার টেবিলে তেহরানকে চাপ দেওয়ার সরঞ্জাম হিসাবে পরিবর্তনের বর্ণনা দিয়েছে।
ট্রাম্প বলেছিলেন যে স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করার সময় তিনি “অসন্তুষ্ট” ছিলেন, তবে তার কোনও বিকল্প ছিল না। “এটা খুব সহজ। ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে পারে না, ”তিনি যোগ করেন।
এই প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে, ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে তিনি ইরানের তেল রফতানি রাখার চেষ্টা করছেন, তিনি বলেছিলেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইরানের তেল বিক্রি অন্যান্য জাতির কাছে অবরুদ্ধ করার “অধিকার” ছিল।
ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার স্মারকলিপিটি স্বাক্ষরিত হওয়ার পরে ব্যারেল প্রতি প্রায় $ 76 ডলার আলোচনা করেছিল, মঙ্গলবারের সর্বনিম্ন মার্কিন $ 74.15 এর নীচেও।
কয়েক সপ্তাহ আগে ইরানের রাষ্ট্রপতি মাসউড পেজেশকিয়ান নিষেধাজ্ঞাগুলির ত্রাণ নিশ্চিত করতে এবং ঘরোয়া অর্থনৈতিক চাপ উপশম করার জন্য একটি আলোচনার চুক্তির সাথে একমত হওয়ার আরও আকাঙ্ক্ষার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
তাঁর সরকার এও পরিষ্কার করে দিয়েছে যে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইস্রায়েলের সাথে সামরিক লড়াই এড়াতে চান।
তার প্রথম মেয়াদ চলাকালীন, ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে একটি “সর্বাধিক চাপ” অভিযান স্থাপন করেছিলেন, ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি ত্যাগ করেছিলেন যা তেহরান বিশ্ব শক্তির সাথে স্বাক্ষর করেছিল এবং ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
জবাবে, তেহরান তার পারমাণবিক ক্রিয়াকলাপ বাড়িয়েছে এবং এখন অস্ত্রের স্তরের কাছাকাছি ইউরেনিয়ামকে সমৃদ্ধ করছে।
